জমি জমার বিবিধ আলোচনা

জমি জমার বিবিধ আলোচনা - Jamider City Development
জমি জমার বিবিধ আলোচনা – Jamider City Development

নানাবিধ প্রয়োজনেই আমাদের জমি ক্রয় এবং বিক্রয় করতে হয়। জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ক্রেতা-গ্রহীতা প্রায়শই বিভিন্ন কারণে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাবিত জমির ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে অনাকাঙ্খিত বিরোধ এড়াতে কিছু বিষয় জেনে রাখা দরকার সবারই। বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন মামলার একটি বড় অংশই জমি-জমা সংক্রান্ত। এছাড়া জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যান্য দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলাও। অনেকেই তাদের নিজের জমি থেকে দখলচ্যূত হন। জমি ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে অনেকে অনেক তথ্য জানেন না বলে অজ্ঞতার কারণে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। বিপদে পড়ে যান। তাই আজ এই সংক্রান্ত টুকিটাকি কিছু বিষয়ের ধারনা দেবার চেষ্টা এই নিবন্ধে।

আলোচ্য নিবন্ধে আমরা অনলাইনে খতিয়ান প্রাপ্তির বিষয়সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টার্ম নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোকচনা করতে চাই। সেগুলো হল- খতিয়ান কি?, সি এস খতিয়ান কি?, এস এ খতিয়ান কি?, আর এস খতিয়ান কি?, বি এস খতিয়ান কি?, পর্চা কি?, চিটা কি?, দখলনামা কি?, বয়নামা কি?, জমাবন্দি কি?, দাখিলা কি?, হুকুমনামা কি?, জমা খারিজ কি?, মৌজা কি? ইত্যাদি।

খতিয়ান কি?

ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে খতিয়ান মানে জাবেদা থেকে হিসাব সমূহকে শ্রেণী বিন্যাস করণ। তবে জায়গা জমির ক্ষেত্রে খতিয়ান অর্থ হইল ‘হিসাব’।

মূলত জমির মালিকানা স্বত্ব রক্ষা ও রাজস্ব আদায়ের জন্য জরিপ বিভাগ কর্তৃক প্রতিটি মৌজার জমির এক বা একাধিক মালিকের নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, ঠিকানা, দাগ নম্বর, ভূমির পরিমাণ, হিস্যা (অংশ), খাজনা ইত্যাদি বিবরণসহ যে ভূমি স্বত্ব প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে থতিয়ান বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক।

সি এস খতিয়ান কি?

১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।

এস এ খতিয়ান কি?

১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এসএ খতিয়ান ৬২র
খতিয়ান নামেও পরিচিত।

আর এস খতিয়ান কি?

একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বি এস খতিয়ান নামেও পরিচিত।

বি এস খতিয়ান কি?

সর্ব শেষ এই জরিপ ১৯৯০ সা পরিচালিত হয়। ঢাকা অঞ্চলে মহানগর জরিপ হিসাবেও পরিচিত।

খতিয়ানে কি কি বিষয় থাকে?

খতিয়ানে কি কি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে সে সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় অর্জন বিধিমালা ১৮ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে। এগুলো হলো-

  • প্রজা বা দখলদারের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা, তারা কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত, তাদের অধিকৃত জমির অবস্থান শ্রেণী পরিমাণ ও সীমানা।
  • প্রজার জমির মালিকের এবং এস্টেটের মালিকের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা।৩. খতিয়ান প্রস্তুতের সময় খাজনা এবং ২৮, ২৯, ৩০ বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত খাজনা।
  • যদি খাজনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে যে সময় ও যে যে পদ্ধক্ষেপে বৃদ্ধি পায় তার বিবরণ। যে পদ্ধতিতে খাজনা ধার্য হয়েছে তার বিবরণ।
  • গোচরণ ভূমি, বনভূমি ও মৎস্য খামারের জন্য ধারণকৃত অর্থ। কৃষি কাজের উদ্দেশ্যে প্রজা কর্তৃক পানির ব্যবহার এবং পানি সরবরাহের জন্য যন্ত্রপাতি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত প্রজা ও জমির মালিকের মধ্যে অধিকার ও কর্তব্যের বিবরণ। প্রজাস্বত্ব সম্পর্কিত শর্ত ও তার পরিণতি।
  • নিজস্ব জমি হলে তার বিবরণ। পথ চলার অধিকার ও জমির সংলগ্ন অন্যান্য ইজমেন্টের অধিকার।
  • খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, বাট্টা নম্বর, এরিয়া নম্বর, মৌজা নম্বর ও জে. এল নম্বর, জেলার নাম, উপজেলা/থানা/ইউনিয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। খতিয়ান তৈরির ইতিহাস সেই ব্রিটিশ আমল থেকে।

এরপর পাকিস্তান এবং বর্তমান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও সংশোধনের মাধ্যমে অনেক ধাপে খতিয়ান তৈরির কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়।

দলিল কাকে বলে?

যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবেতাকে দলিল বলে।

জমির দলিল কত প্রকার ও কি কি?

বাংলাদেশ ভূমি আইন অনুযায়ি জমির দলিল মোট ৯ধরনের হয়ে থাকে।

সাফ-কবালা দলিল কাকে বলে?

কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি অন্যের কাছে বিক্রয় করে যে দলিল সম্পাদন  ও রেজিষ্ট্রী করে দেন তাকে সাফ-কবালা বা খরিদা কবলা বলা হয়।এই দলিল ষ্ট্যাম্পে লিখার পর বিক্রেতা বা দলিলদাতা  সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিল খরিদ্দারের বরাবরে রেজিষ্টী করে দিবেন।

এই দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলিলের সকল স্বত্ত খরিদ্দারের উপর অর্পিত হলো। বিক্রেতা  ও তার ওয়ারিশানরা উক্ত জমির স্বত্ত হতে মুক্ত  হলেন।

দানপত্র দলিল কাকে বলে?

যে কোন সম্প্রদায়ের বা গোষ্ঠীর যে কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি দান করতে পারেন। এই দলিলে গ্রহীতাকে শর্তবিহীন অবস্থায় সকল প্রকার ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।

স্বত্ব সম্পর্কে দাতার কোন প্রকার দাবী থাকা যাবে না, দাবী থাকলে দানপত্র শুদ্ধ হবে না।

হেবা দলিল কাকে বলে?

মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এই হেবা দলিল,এই দলিল কোন কিছুর বিনিময়ে নয়,শুধুমাত্র সন্তুষ্ট হয়ে এইরূপ দান করা হয়।কিন্তু এই হেবা শর্তবিহীন অবস্থায় দান বিক্রয়, রেহান ও রূপান্তর ইত্যাদি সকল ক্ষমতা প্রদানে দান বা হেবা করতে হবে।স্বত্ব সম্বন্ধে বিক্রেতার কোন দাবী থাকলে সেই হেবা দলিল শুদ্ধ হবে না এবং যে কোন সময় বাতিল হবে।এমন ভাবে হেবা বা দান পত্রে বিক্রেতার কোন স্বার্থ সংরক্ষিত থাকবে না।

হেবা বিল এওয়াজ দলিল কাকে বলে?

এই হেবা বিল এওয়াজ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি দানপত্র দলিল। এই দানও সন্তুষ্ট হয়ে করা হয় কিন্তুএই দলিল সামান্য কোন কিছুর বিনিময়ে হয়ে থাকে,যেমন-পবিত্র কোরআন,জায়নামাজ,তছবিহ,মোহরানার টাকা,এছাড়াও যে কোন জিনিষের বিনিময়েও হতে পারে,যেমন আংটি,ঘড়ি ইত্যাদি।

বিক্রেতার স্বার্থে কোন প্রকার স্বত্ব বিক্রেতার জন্য সংরক্ষিত থাকলে দলিল শুদ্ধ হবে না।এই দলিল সম্পূর্ণ শর্তবিহীন অবস্থায় গ্রহিতা যাবতীয় হস্তান্তর ও রূপান্তরের সকল ধরণের ক্ষমতার অধিকারী হবে এবং বিক্রেতার বা দলিলদাতার যাবতীয় স্বত্ব গ্রহিতাতে অর্পিত হবে। এই দলিল অবশ্যই রেজিষ্ট্রী হতে হবে।

এওয়াজ দলিল কাকে বলে?

যে কোন সম্প্রদায়ের বা একই বংশের বা কোন ব্যক্তি যে কোন ব্যক্তির সুবিধা মত একজনের ভূমি/জমি অপরকে দিতে পারেন অর্থাৎ মালিকানা একে অপরের সাথে বদলি করে নেয়া।এই দলিল অবশ্যই রেজিষ্ট্রী হতে হবে।

 বন্টনমানা দলিল কাকে বলে?

শরিকদের মধ্যে সম্পত্তি নিজ নিজ ছাহাম প্রাপ্ত হয়ে উক্ত ছাহামের যে দলিল করতে হয় তাকে বন্টননামা দলিল বলে।অর্থাৎ উউত্তরসূরিদের মধ্যে যেই বন্টন হয় তার যে দলিল সেটাই মুলত বন্টনমানা দলিল।একই সম্পত্তিতে মালিক একই বংশের লোককে সাধারণত শরিক বলা হয়। শরিক দুই প্রকারের,উত্তরাধিকার সূত্রে শরিক ও কোন শরিক হতে ক্রয়/খরিদ সূত্রে শরিক।

এই দলিল করার সময় সকল শরিকগণ দলিলে পক্ষভুক্ত থেকে দলিল করতে হবে, কোন একজন শরিক বাদ থাকলে বন্টননামা শুদ্ধ হবেনা।এই দলিল রেজিষ্টারী করতে হবে কিন্তু ঘরোয়াভাবে বন্টন করে সকল পক্ষগণ যদি দলিলে দস্তখত করে থাকেন তা হলেও বন্টননামা কার্যকরী হতে পারে।যদি শরিকগণের কেউ ঘরোয়া ভাবে বন্টন করতে রাজী না হন বা বন্টন না মানেন তাহলে যে কোন শরিক বন্টনের জন্য আদালতে নালিশ করতে পারেন।

 অসিয়তনামা দলিল কাকে বলে?

কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অছিয়তকারী ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে একজনকে বা কোন তৃতীয় ব্যক্তিকে প্রদান করে থাকেন এবং অছিয়তকারীর মৃত্যুর পর যদি তার উত্তরাধিকারীগণ দাবী করে তাহলে যাকে সম্পত্তি অছিয়ত করা হলো সেই ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাবে এবং দুই তৃতীয়াংশের মালিক উত্তরাধিকারী দের সবার হবে।

 উইল দলিল কাকে বলে?

হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজ সম্পত্তি তাদের আত্মীয়দের মধ্যে যাকে ইচ্ছা উইল করে দিতে পারেন। যিনি উইল করলেন তিনি জীবত থাকা কালে একের অধিক উইল করতে পারেন। কিন্তু সর্বশেষ যে উইল করলেন কেবল ঐটাই কার্যকরী হবে।

না-দাবী দলিল কাকে বলে?

কোন ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কোন সম্পত্তিতে তার স্বত্বাধিকার ত্যাগ করছেন মর্মে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেন। এই দলিলকে নাদাবী দলিল বলা হয়।

খানাপুরি কাকে বলে?

জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।

নামজারি কাকে বলে ?

ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়। যখন অন্যের জমি থেকে নিজের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে নিবেন এবং রেজিস্ট্রি করার পরে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নিজস্ব খতিয়ান নাম্বার এ প্রতিবছর খাজনা প্রদান করার সুযোগ পাবেন তখনই আপনার নামজারি করা হবে।

অর্থাৎ জমি খারিজ কে আলাদাভাবে নামজারি বলা হয়। নিজের ক্রয় কৃত জমি বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমি নিজের নামে ভূমি অফিসে লিপিবদ্ধ করা হলো নামজারি। আপনি যতক্ষণ না নামজারি করছেন ততক্ষণ জমির পুরোপুরি মালিকানা আপনার নামে হবে না।

অর্থাৎ আপনি যেখান থেকে জমি ক্রয় করছেন অথবা যে মালিকানার ভিত্তিতে জমি পাচ্ছেন সেই মালিকের নাম এই জমির খতিয়ান হয়ে আছে। তাই জমির খতিয়ান আপনার নামে করতে এবং জমির দাগ নাম্বার আপনার নামে নিশ্চিত করতে আপনাকে নামজারি করতে হবে।

নামজারি জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে এবং জমির মালিকানা নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি নাম জানি না করেন তাহলে আপনি আপনার নিজস্ব জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন না এবং খাজনা যেহেতু পরিশোধ করতে পারবেন না সেহেতু সেই জমির মালিকানা এখনো আপনার নামে পুরোপুরিভাবে হয়ে যায়নি। তাই নিজের জমি নিজের নামে খাজনা প্রদান করতে হবে এবং এই খাজনা প্রদান করা একটি সরকারি নিয়ম।

আপনি যদি এই সরকারি নিয়মের আওতাভুক্ত না হন তাহলে আপনার জমির সরকারি খাতায় বা উপজেলা ভূমি অফিসে তা লিপিবদ্ধ হবে না। তাই জমির মালিকানা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রত্যেকটি জমির মালিককে অবশ্যই নিজ নামে নামজারি করতে হবে এবং এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

তফসিল কাকে বলে?

জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে তফসিল বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।

দাগ নাম্বার কাকে বলে? / কিত্তা কি ?

দাগ শব্দের অর্থ ভূমিখ-। ভূমির ভাগ বা অংশ বা পরিমাপ করা হয়েছে এবং যে সময়ে পরিমাপ করা হয়েছিল সেই সময়ে ক্রম অনুসারে প্রদত্ত ওই পরিমাপ সম্পর্কিত নম্বর বা চিহ্ন।

যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে। মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়। দাগকে কোথাও কিত্তা বলা হয়।

ছুটা দাগ কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাবে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।

পর্চা কীঃ / পর্চা কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হয় তাকে মাঠ পর্চা বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে পর্চা বলে।

চিটা কাকে বলে?

একটি ক্ষুদ্র ভূমির পরিমাণ, রকম ইত্যাদির পূর্ণ বিবরণ চিটা নামে পরিচিত। বাটোয়ারা মামলায় প্রাথমিক ডিক্রি দেয়ার পর তাকে ফাইনাল ডিক্রিতে পরিণত করার আগে অ্যাডভোকেট কমিশনার সরেজমিন জমি পরিমাপ করে প্রাথমিক ডিক্রি মতে সম্পত্তি এমনি করে পক্ষদের বুঝায়ে দেন। ওই সময় তিনি যে খসড়া ম্যাপ প্রস্তুত করেন তা চিটা বা চিটাদাগ নামে পরিচিত।

দখলনামা কাকে বলে?

দখল হস্তান্তরের সনদপত্র। সার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে সরকার পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর যে সনদপত্র প্রদান করেন তাকে দখলনামা বলে।

সরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল পিটিয়ে, লাল নিশান উড়ায়ে বা বাঁশ গেড়ে দখল প্রদান করেন। কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হলে আদালত ওই সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাকেও দখলনামা বলা হয়। যিনি সরকার অথবা আদালতের নিকট থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হন, ধরে নিতে হবে যে, দখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে।

খাজনা ককে বলে?

সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে যে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।.

বয়নামা কাকে বলে?

১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ২১ আদেশের ৯৪ নিয়ম অনুসারে কোনো স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে আদালত নিলাম ক্রেতাকে নিলামকৃত সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত যে সনদ দেন তা বায়নামা নামে পরিচিত।
বায়নামায় নিলাম ক্রেতার নামসহ অন্যান্য তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। কোনো নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে ক্রেতার অনুকূলে অবশ্যই বায়নামা দিতে হবে।
যে তারিখে নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয় বায়নামায় সে তারিখ উল্লেখ করতে হয়।

জমাবন্দিঃ

জমিদারি আমলে জমিদার বা তালুকদারের সেরেস্তায় প্রজার নাম, জমি ও খাজনার বিবরণী লিপিবদ্ধ করার নিয়ম জমাবন্দি নামে পরিচিত। বর্তমানে তহশিল অফিসে অনুরূপ রেকর্ড রাখা হয় এবং তা জমাবন্দি নামে পরিচিত।

দাখিলা কাকে বলে?

সরকার বা সম্পত্তির মালিককে খাজনা দিলে যে নির্দিষ্ট ফর্ম বা রশিদ ( ফর্ম নং১০৭৭) প্রদান করা হয় তা দাখিলা বা খাজনার রশিদ নামে পরিচিত।
দাখিলা কোনো স্বত্বের দলিল নয়, তবে তা দখল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বহন করে।

DCR কাকে বলে?

ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।

জমা খারিজ কি?

জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।

মৌজা কাকে বলে?

CS জরিপ / ক্যাডষ্টাল জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।

আমিন কাকে বলে?

ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।

কিস্তোয়ার কাকে বলে?

ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।

সিকস্তি কাকে বলে?

নদী ভাংঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকন্তি বলে। সিকন্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকন্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।

পয়ন্তি কাকে বলে?

নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।

নাল জমি কাকে বলে?

২/৩ ফসলি সমতল ভূমিকে নাল জমি বলা হয়।

খাস জমি কাকে বলে?

সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের আওতাধিন যে জমি সরকারের পক্ষে কালেক্টর বা ডিসি তত্ত্বাবধান করেন এমন জমিকে খাস জমি বলে।

চান্দিনা ভিটি কাকে বলে?

হাট বাজারের স্থায়ী বা অস্থায়ী অকৃষি জমির যে অংশ প্রজার প্রতি বরাদ্ধ দেওয়া হয় তাকে চান্দিনা ভিটি বলে।

ওয়াকফ কাকে বলে?

ইসলামি বিধান অনুযায়ী কোন ভূমি তার মালিক কর্তৃক ধর্মীয় ও সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ভার বহন করার উদ্দেশ্যে কোন দান করাকে ওয়াকফ বলে

মোতয়াল্লী কাকে বলে?

যিনি ওয়াকফসম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান করেন তাকে মোতওয়াল্লী বলে। ওয়াকফপ্রশাসকের অনুমতি ব্যতিত মোতওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেনা।

দেবোত্তর সম্পত্তি কাকে বলে?

হিন্দুধর্ম মতে, ধর্মীয় কাজের জন্য উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে।

কবুলিয়ত কাকে বলে?

সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।

ফারায়েজ কাকে বলে?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।

ওয়ারিশ কাকে বলে?

ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলেতার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।

হুকুমনামা কাকে বলে?

আমলনামা বা হুকুমনামা বলতে জমিদারের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার পর প্রজার স্বত্ব দখল প্রমাণের দলিলকে বুঝায়। সংক্ষেপে বলতে গেলে জমিদার কর্তৃক প্রজার বরাবরে দেয়া জমির বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নির্দেশপত্রই আমলনামা।

সিকস্তি কাকে বলে?

নদী ভাংঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকন্তি বলে।সিকন্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকন্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।

অনলাইনে কিভাবে খতিয়ান দেখবেন?

প্রযুক্তি আমাদের জীবন যাত্রাকে কতটাই না সহজ করে দিয়েছে। একটিমাত্র কাগজের জন্য কত অফিস দৌড়াতে হত আগে। একটুখানি তথ্যের জন্য কত দিন অপেক্ষায় থাকতে হত। এমনকি এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় একটি চিঠি পাঠালে তার জন্য কত দিন প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে হত আমাদের। এখন দিন পাল্টে গেছে। মোবাইল, নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ইত্যাদির ব্যবহার সত্যিই যেন আমূল পাল্টে দিয়েছে আমাদের জীবন মান। নাগরিক জীবনে প্রাপ্ত হাজারও সুবিধার মত এখন থেকে অনলাইনে সংগ্রহ করা যাবে জমির খতিয়ানও। মাত্র পাঁচ মিনিটে পাওয়া সম্ভব এই ডকুমেন্টস। এটি land.gov.bd বা rsk.land.gov.bd বা http://www.minland.gov.bd বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের সহায়তায় এই অনলাইনে খতিয়ানের কপি সংগ্রহ করা যাবে।

জমি জমার বিবিধ আলোচনা - Jamider City Development
জমি জমার বিবিধ আলোচনা – Jamider City Development

কিভাবে সার্চ দিতে হবে?

জমির খতিয়ান অনলাইনে সংগ্রহের জন্য ওয়েবসাইটে রয়েছে নাগরিক কর্ণার। সব শ্রেনির নাগরিক এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এই নাগরিক কর্ণারে ঢুকে যে এলাকার খতিয়ান জানতে ইচ্ছুক সে এলাকার সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও মৌজা বাছাই করে নিতে হবে অনুসন্ধানের জন্য। এরপরে খতিয়ান নম্বর অথবা দাগ নম্বর কিংবা মালিকানা নাম বা পিতা অথবা স্বামীর নাম দিয়ে খতিয়ান অনুসন্ধান করা যাবে।

শুধু খতিয়ান প্রাপ্তিই নয়। খতিয়ানের সাথে সাথে বর্তমানে এখান থেকে অনলাইনে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপির জন্য অনলাইনে আবেদন, আবেদন নিষ্পত্তি বিষয়ে ট্র্যাকিং ও কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনিটরিং করার সুবিধা রয়েছে এই অনলাইন পদ্ধতিতে।

অনলাইনে খতিয়ানের কপি পেতে কি কি তথ্য প্রয়োজন?

অনলাইনে খতিয়ানের কপি পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় নাগরিকের নাম, পরিচয়পত্র নম্বর, ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে। নির্ধারিত তথ্য দেয়ার পর মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খতিয়ানের জন্য নির্ধারিত ফি দিতে হবে। ফি পরিশোধের পর অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে চাইলে সরাসরি অনলাইন কপি প্রিন্ট করে নেয়া যাবে।

সার্টিফাইড কপি পাওয়ার ক্ষেত্রে?

সার্টিফাইড কপি পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনের সময় নাগরিকের তথ্য প্রদানের পর মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খতিয়ানের জন্য আলাদা ফি দিতে হবে। ফি দেয়ার পর সার্টিফাইড কপির জন্য নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, ই-মেইল, মোবাইল নম্বর, ট্রানজেকশন আইডি ও ডাকযোগে যোগাযোগের ঠিকানা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট জেলা অফিস থেকে বা আবেদনকারীর প্রত্যাশিত ঠিকানায় ডাকযোগে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে আরএস খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করা হবে।

আপনার এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাস উপযোগী বসতভিটা এবং চাষাবাদযোগ্য জমিকে নির্ভেজাল রাখতে আপনি সচেতন হোন।

সংগ্রহীত

জমিদার সিটি ডেভেলপমেন্ট

0 Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You May Also Like
Read More

মহান স্বাধীনতা দিবস

২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস।জমিদার সিটি ডেভেলপমেন্ট এর পক্ষ থেকে জানাই মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।